মৌলভীবাজারের শহরের ফুটপাত পথচারীদের বদলে এখন দোকানিদের দখলে, গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা হিসেবেও ব্যবহূত হচ্ছে ফুটপাতগুলো। ফুটপাতের উপরেই চলছে সবজি বেচাকেনা, রাখা হচ্ছে ব্যবসায়িক সাইনবোর্ড, বসেছে চা ও পানের দোকান।
আর মুদি দোকানী, স্যানিটারী ও ফল ব্যবসায়ীরা পসরা সাজিয়ে রেখেছেন ব্যস্ততম রাস্তার ফুটপাতগুলোর উপর।রাস্তার উপরে চলছে বিভিন্ন ভাসমান পণ্যের ব্যবসা। সেই সাথে দোকানপাটের সমস্ত বর্জ্য ফেলা হচ্ছে রাস্তার উপর। পথচারীরা বেশিরভাগ সময় এসব কারনে ফুটপাত ছেড়ে ঝুঁকি নিয়েই হাঁটছেন রাস্তায়। ফলে পথচারীদের বিড়ম্বনার পাশাপাশি প্রতিনিয়তই সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।
যানজট নিরসনে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে মৌলভীবাজার পৌরসভা ও জেলা পুলিশ প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে পৌর শহরে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। শহরের চৌমুহনা,পশ্চিমবাজার, সৈয়দ কুদরত উল্ল্যা সড়ক, কোর্ট রোড, সেন্ট্রাল রোড, সমশের নগর রোড, টিসি মার্কেট, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, পুরাতন হাসপাতাল সড়ক, ২৫০ শয্যা হাসপাতালের সম্মুখ পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বুধবার ( ৮ সেপ্টম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মো: ফজলুর রহমান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জিয়াউর রহমান এর নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে পৌর মেয়র বলেন শহরের ফুটপাতকে হর্কাস মুক্ত করতে হাকারদের সরে যেতে বলা হচ্ছে। রাস্তার ফুটপাত সাধারন মানুষ নির্বেগ্নে চলাফেরা করার জন্য, এটা কার দখলে নেয়ার জন্য নয়, তাছাড়া এখন থেকে শিক্ষা প্রতিষ্টান খুলে দেয়া হচ্ছে, ছাত্র ছাত্রীরা যেন শহরের ফুটপাতগুলোর উপর দিয়ে চলা ফেরা করতে পারে সেই লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে তাদের সর্তক করে দিয়েছি, কথা না শুনলে পরবর্তীতে তাদের মালামাল পৌরসভায় তোলে নিয়ে যাওয়া হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জিয়াউর রহমান বলেন, শহরের যানজট ও ফুটপাত থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদে এ অভিযান শুরু হয়েছে। যা এখন থেকে ধারাবাহিকভাবে চলবে।
অভিযানে উপস্থিত ছিলেন কৃষকলীগের সভাপতি জমশেদ মিয়া , পৌর কাউন্সিলর জালাল আহমদ, পার্থ স্বারথী পাল,আনিসুজ্জামান বায়েস, পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সদর মডেল থানা পুলিশের সদস্যরা।