1. songbadmoulvibazar@gmail.com : admin :
রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০১:২৮ অপরাহ্ন

আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের মাইজদিহি পাহাড়ে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীনদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহারের পাকা ঘরগুলো পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। পরিদর্শনকালে তিনি শ্রীমঙ্গল উপজেলায় নির্মাণাধীন বাড়িগুলোর নির্মাণশৈলী ও গুণগতমান অনুমোদিত ডিজাইন ও প্রাক্কলন অনুযায়ী হয়েছে কিনা, তা যাচাই করেন। পাশাপাশি উপকারভোগীদের সাথে কথা বলে তাদের কোনো সমস্যা আছে কিনা তিনি তার খোঁজ নেন।  রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলায় কালাপুর ইউনিয়নে মাইজদিহি পাহাড়ে নব-নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো পরিদর্শন করেন তিনি।

আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শনকালে তাঁর সাথে ছিলেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মো: খলিলুর রহমান, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, জেলা পুলিশ সুপার মো. জাকারিয়া, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খোদেজা খাতুন, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মল্লিকা দে, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক ও আইসিটি) তানিয়া সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রুমানা ইয়াসমিন,  শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নেছার উদ্দিনসহ সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।

এসময় আশ্রয়ন প্রকল্প ভোগীরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, জীবনে অনেক কষ্ট করেছি। মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও ছিল না। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে আমারা পাকা ঘরে মাথা গোঁজার জায়গা পেয়েছি। যা কোনদিন স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি।

পরে মূখ্য সচিব ও তার স্ত্রী মাফরুহা আহমদ প্রকল্প এলাকায় একটি নিম ও একটি আমলকি গাছের চারা রোপন করেন।

সেখানে আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প। এর সঙ্গে আমাদের সবার আবেগ জড়িয়ে আছে। তাই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কোনও ধরনের অনিয়ম ও অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে শাস্তিত পেতেই হবে। কাউকেই বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি বলেন পৃথিবীর অন্যান্য দেশে ভূমিহীনদের এ ভাবে বাড়ি-ঘড় করে দেয়া হয়না।

বাংলাদেশে এটি একটি বিরল উদাহরন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রায়ন প্রকল্পকে এবাদত হিসেবে বেঁছে নিয়েছেন। আমরাও এটিকে এবাদত হিসেবে দেখি। আমাদের কাছে প্রতিটি ঘরই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, প্রতিটি ঘরের সঙ্গে একেকটি পরিবারের স্বপ্ন জড়িত। এজন্যই এ রকম একটি মহামারি পরিস্থিতির মধ্যেও আমরা এটি পরিদর্শনে এসেছি আশা করি আমরা সবাই মিলে এই প্রকল্পকে সফল করবো। তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের আগামী এক বছরের মধ্যে এ প্রকল্পের বাকি কাজ পূর্ণাঙ্গরুপে শেষ করার তাগিদ দেন।

প্রসঙ্গত,  মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে এলাকার ভূমি ও আশ্রয়হীনদের দুই শতক জায়গাসহ ঘর উপহার দিতে দ্বিতীয় ধাপে কালাপুর ইউনিয়নে মাইজদিহি পাহাড়ে ৩০০টি ঘর নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয় শ্রীমঙ্গল উপজেলা প্রশাসন। এর মধ্যে নির্মাণ করা ১৬০ টি ঘর গত ২০ জুন প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন শেষে আশ্রয়হীন পরিবারকে ঘরের মালিকানা বুঝিয়ে দেয়া হয়। উপজেলার বাকি ঘরগুলোর কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে।

এরইমধ্যে সারাদেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় তৈরি ঘরগুলো নিয়ে অভিযোগ উঠে বিভিন্ন অনিয়ম ও অবহেলারও। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দেশব্যাপী আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ি পরিদর্শনে নামে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একাধিক টিম।

 

Facebook Comments Box
এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০১৮ সংবাদ মৌলভীবাজার
Theme Customized BY Songbad Moulvibazar
error: Content is protected !!