দেবী বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। এক দিকে আনন্দ অন্য দিকে বিষাদের সুর আর চোখের জলে দেবী দুর্গাকে বিদায় জানিয়েছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।
সনাতন ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, বিসর্জনের মধ্য দিয়ে মা দুর্গা তার সন্তান কার্তিক, গণেশ, লক্ষমী,সরস্বতীসহ কৈলাসে শ্বশুরবাড়ি ফিরে যাবেন। সকাল থেকে পুষ্পাঞ্জলি নেয়ার পাশাপাশি মায়ের প্রতিমা দর্শন করতে হিন্দু ভক্তবৃন্দরা বিভিন্ন মন্ডপে মন্ডপে ভিড় করেন। নারী, শিশুসহ সকল বয়সের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা বিসর্জনে অংশ নেন।
শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) সকালে জেলার সব পূজা মন্ডপে দেবী দুর্গার বিজয়া দশমী বিহিত পূজার মাধ্যমে পালিত হয় দশমী। এরপর পূজার সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেল ৪টার পর পরই শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জন।
শঙ্খ, উলুধ্বনি, খোল-করতাল, ঢাক-ঢোল ও কাঁসার বাজনার সঙ্গে মৌলভীবাজার মনু নদীর ঘাটে সব মন্ডপের দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।
গত সোমবার ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় শারদীয় দুর্গোৎসব, এবছর মৌলভীবাজার জেলায় এক হাজার পাঁচটি পূজামন্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়। এবার ভক্তদের কাছে দেবী আসেন ঘোড়ায় চড়ে।
এদিকে যে কোনো অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে জুম্মার নামাজের পরপরই বিসর্জন পর্যন্ত প্রতিটি মন্দিরে পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন ছিল। জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, পৌরসভার মেয়র মোঃ ফজলুর রহমানসহ জেলা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাবৃন্দরা দূর্গাপূজা বিসর্জন ঘাটের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাদি পরিদর্শন করেন। পূজামন্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি র্যাবও টহলে ছিলো।