1. songbadmoulvibazar@gmail.com : admin :
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৯ পূর্বাহ্ন

অভিযুক্ত ইকবাল কুমিল্লার পুলিশ লাইন্সে

কুমিল্লা প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ২২ অক্টোবর, ২০২১

পূজামণ্ডপে কোরআন রাখার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কক্সবাজারে আটক ইকবাল হোসেনকে কুমিল্লায় আনা হয়েছে। শুক্রবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে ইকবালকে বহন করা পুলিশের গাড়ি কুমিল্লা পুলিশ লাইন্সে পৌঁছায়। এরআগে, ভোর সাড়ে ৬টার দিকে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে তাকে নিয়ে কুমিল্লার উদ্দেশে রওনা হন পুলিশ সদস্যরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহান সরকার। বলেন, কালো গ্লাসের একটি গাড়িতে করে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে ইকবালকে কুমিল্লায় আনা হয়। আপাতত তাকে পুলিশ লাইন্সে রাখা হবে। সেখানে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রাপ্ত তথ্য সাংবাদিকদের জানানো হবে।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে সমুদ্রসৈকত এলাকায় ঘোরাফেরা করার সময় ইকবাল হোসেনকে জেলা পুলিশের একটি দল আটক করে। পরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাকে নিতে ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লা জেলা পুলিশের একটি টিম কক্সবাজারে আসে।

ভোর সাড়ে ৬টার দিকে ইকবালকে কুমিল্লা জেলা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরপরই কুমিল্লা জেলা পুলিশের ওই টিম ইকবালকে নিয়ে রওনা দেয়।

এদিকে ইকবালের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ইকবাল কখনো বাসচালকের সহকারী (হেলপার), কখনো রংমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করেছেন। ইকবালের বাবা নুর আহমেদ আলম। মা বিবি আমেনা বেগম। তাঁদের তিন ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে ইকবাল বড়। তাঁর মা আমেনা বেগম জানান, ১০ বছর আগে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলায় প্রথম বিয়ে করেন ইকবাল। প্রথম স্ত্রীর ঘরে একটি ছেলে আছে। পাঁচ বছর আগে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়।

এরপর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে দ্বিতীয় বিয়ে করেন তিনি। এই ঘরে একটি মেয়ে আছে। তাঁর ছেলের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দ্বিতীয় স্ত্রী বাবার বাড়ি চলে গেছেন। পরিবারের অন্য সদস্যরা জানান, ইকবাল ভবঘুরের মতো জীবন কাটান। মাদকের টাকার জন্য পরিবারের সদস্যদের প্রায়ই বিরক্ত করতেন।

 

প্রসঙ্গত, গত ১৩ অক্টোবর সকালে কুমিল্লা নগরীর নানুয়া দীঘির উত্তরপাড় পূজামণ্ডপে কোরআন অবমাননার অভিযোগে ওই মণ্ডপে হামলা চালায় একদল লোক। সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।

কুমিল্লার ঘটনার জের ধরে ওই দিন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ ও দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের মন্দির, মণ্ডপ ও দোকানপাটে হামলা–ভাঙচুর চালানো হয়। এ  ঘটনায় এ পর্যন্ত জেলার তিনটি থানায় মোট আটটি মামলা হয়েছে। এই আট মামলায় অজ্ঞাত অন্তত ৮০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত পুলিশ ও র‌্যাব ৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে।

 

Facebook Comments Box
এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০১৮ সংবাদ মৌলভীবাজার
Theme Customized BY Songbad Moulvibazar
error: Content is protected !!