নিজেকে মেধাবান ও অধিক যোগ্যতা সমপন্ন বলে বরাবরই দাবী করতেন বিতর্কিত তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। সেই ডা. মুরাদই সবচেয়ে বড় ভুল করলেন তাঁর পদত্যাগ পত্রে।
২০১৯ সালের ১৯ মে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ডা. মুরাদ হাসানকে। কিন্তু তার পদত্যাগপত্রে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের গত ১৯ মে তাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়। অর্থাৎ উল্লেখ করা তারিখটি ঠিক থাকলেও সালটি ভুল। এতে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন অনেকে।
মঙ্গলবার দুপুরে নিজের দপ্তরে এ পদত্যাগপত্র পাঠান ডা. মুরাদ। এখন সেটি প্রক্রিয়া অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে।
ইতোমধ্যে সেই পদত্যাগপত্রের কপি এসেছে সংবাদমাধ্যমের কাছে। সেখানে এই ভুলের পাশাপাশি আরও দুটি ভুল চোখে পড়েছে। পদত্যাগপত্রের শুরুতেই ডা, মুরাদ বলেছেন, ‘স্ব-শ্রদ্ধেয় সালাম’। অথচ এখানে হওয়ার কথা ছিল ‘সশ্রদ্ধ সালাম’। এছাড়া অব্যাহতি বানানে ভুল করেছেন তিনি। পদত্যাগপত্রটিতে লেখা হয়েছে অব্যহতি। পদত্যাগপত্রের শুরুতে ‘তেজগাঁও’ বানানেও ভুল করেছেন তিনি। লিখেছেন ‘তেঁজগাও’।
সাল ভুল দেখে কেউ কেউ মনে করছেন, ২০২১ সালের মে অর্থাৎ এই কয়েক মাস হয়ত হয়েছে, তিনি তথ্য প্রতিন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। যদিও তিনি ২০১৯ সালের মে মাসে দায়িত্ব পান।
পদত্যাগপত্র অনুসারে মুরাদ হাসান মাত্র সাড়ে পাঁচ মাস দায়িত্ব পালন করেছেন। আসলে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন আড়াই বছরের বেশি সময়।
এদিকে ‘ব্যক্তিগত কারণ’ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন তিনি। সেখানে বলেন, ‘আমি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে ইচ্ছুক।’
তবে পদত্যাগপত্রটি ইতিমধ্যে সংশোধন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন।
এর আগে সোমবার মুরাদ হাসানকে মঙ্গলবারের মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত কয়েকদিন ধরেই বিতর্কিত মন্তব্য ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর এ নির্দেশ আসে। ডা. মুরাদ জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী উপজেলা) আসনের সংসদ সদস্য।