প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় দেশে এ বছরই পরীক্ষামূলকভাবে চালু হতে যাচ্ছে ৫জি টেকনোলজি। এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত ও পেশাগত নানা প্রয়োজন মেটাতে দ্রুতগতির ইন্টারনেটের সাথে মিলবে আরো অনেক সুবিধা।
খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, প্রযুক্তির উৎকর্ষতার যে ধারাবাহিকতা বিশ্বজুড়ে তার পথেই হাঁটছে দেশ। এখন প্রয়োজন অবকাঠামো ও প্রযুক্তিগত নানা পণ্যের সহজলভ্যতা। তবেই, সুফল পাওয়া যাবে ৫জি-র।
প্রযুক্তির ধারাবাহিকতায় ১জি থেকে ৪জি-র উৎকর্ষতা ও ব্যবহার আমরা দেখতে পেয়েছি। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিক দুনিয়ার নানা সুবিধা এখন হাতের মুঠো ছাড়িয়ে আঙুলের তুড়িতে।
অসাধারণ নানা প্রযুক্তির ব্যবহার নিত্যদিনের সঙ্গি হলেও অনেক সময় তা সুফল ভোগ করা যায় না। তাই, উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে আরো এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার পথে এখন কড়া নাড়ছে ৫জি প্রযুক্তি।
শুধুমাত্র ইন্টারনেটের সুবিধা নয়, টেলিমেডিসিন, টেলিক্লাস, স্মার্ট টেকনোলজির ব্যবহারের সাথে পরিবর্তন আসবে শিক্ষা, শিল্প, চিকিৎসাসহ নানা বড় খাতে। তৈরি হবে নিত্য নতুন ব্যবসার ক্ষেত্র।
গত ৭ বছরে ৩জি ও ৪জি-র সুবিধা নিয়ে নতুন দিগন্তের পথে বাংলাদেশ। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অবকাঠামো ও নানা পণ্যের সহজলভ্যতা বদলে দিতে পারে ডিজিটাল বাংলাদেশের চিত্র। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবোটিক্স ও ক্লাউড কম্পিউটিংকে ব্যবহার করে শিল্পখাতে পুরোপুরি অটোমেশন সমৃদ্ধ দেশের চিত্র বদলে দিতে পারে।
সম্ভাবনার এ দুয়ারকে কাজে লাগিয়ে নব দৃপ্ত পথে হাটবে বাংলাদেশ। সেই দিকেই তাকিয়ে আগামী ভবিষ্যত।