মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিসহ সকল অপশক্তি রুখে দেওয়ার প্রত্যয়ে হাজারো দ্বীপশিখা প্রজ্বলন করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেছে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনসহ সর্বস্থরের মানুষ। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানাতে শীতকে উপেক্ষা করে স্থানীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জড়ো হন শিশু-কিশোরসহ সববয়সের মানুষ। সেখানে ভোলবনা তোমাদের অঙ্কণ করে, পুরো শহীদ মিনার প্রাঙ্গন জুড়ে প্রায় পাঁচহাজার মোমবাতি প্রজ্বলন করে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয় ১৯৭১ সালের এই দিনে নিহত সকল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের।
এর আগে দিবসটি উপলক্ষে স্মৃতিসৌধে পৃথকভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানান মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন, জেলা আওয়ামীলীগ ও জেলা পুলিশ এর নেতৃবৃন্দরা।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সেখানে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার তিন আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নেছার আহমদ। জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার-হবিগঞ্জ সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) হাসান মোহাম্মদ নাছের রিকবদার ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আজমল হোসেন।
জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জসীম উদ্দীন মাসুদের সঞ্চালনায় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জামাল উদ্দিন,বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মুহিত টুটু ও নাট্যকার আব্দুল মতিন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, পৌরসভার মেয়র মো: ফজলুর রহমান, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মল্লিকা দে, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খোদেজা খাতুন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রুমানা ইয়াসমিন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক তানিয়া সুলতানা, মোঃ মেহেদী হাসান, মো: আব্দুল হক ও জেলা পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাগণ।
উল্লেখ্য ১৯৭১ সালের এই দিনে চুড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুদিন আগে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা পরিকল্পিতভাবে দেশের কৃতী সন্তানদের হত্যা করে। তারপর থেকে দিনটি শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।