মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় বর্ডার হাটের নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিকভাবে ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছেন দুদেশের মন্ত্রী।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে বাংলাদেশ সরকারের বানিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সি এমপি ও ভারতের ত্রিপুরা সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব যৌথভাবে এ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে দুই দেশের নোম্যান্স ল্যান্ডে ২.৭২ একর ভুমিতে কুরমাঘাট-কমলপুর বর্ডার হাট নির্মাণে ভারতীয় রুপী হিসেবে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ কোটি ৩০ লক্ষ ।
জানা যায়, কমলগঞ্জের ইসলামপুর কুরমা সীমান্তের ১৯০৩/৩৩ এস পিলারের কাছে এবং ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের ধলই জেলার কমলপুর এলাকার নোম্যান্স ল্যান্ড উভয় দেশের সমপরিমাণ জায়গায় বর্ডার হাট নির্মাণ করা হচ্ছে। হাটের বাংলাদেশ সীমান্তের দিকে এবং ভারতের দিকে আরেকটি ফটক থাকবে। সপ্তাহে দুই দিন মঙ্গলবার ও শুক্রবার এই হাট বসবে। তবে স্থানীয়দের সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনায় একাধিক দিনও হাট বসার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে হাট ব্যবস্থাপনা কমিটি। সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত হাটে বেচাকেনা করা যাবে। তৈরি পোশাক, বিভিন্ন ধরনের খাদ্যপণ্য, শাকসবজি, ফলমূল, মাছ, মুরগি, শুঁটকি, সুপারি নিত্যপণ্য বেচাকেনা চলবে বর্ডার হাটে।সীমান্ত হাটের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যরা। বিজিবি নিরাপত্তা ও চোরাচালান প্রতিরোধে সার্বক্ষনিক মনিটর করবে। সীমান্ত হাটের আশপাশের ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বসবাসরত জনগণ এই হাট থেকে পণ্য সামগ্রী ক্রয় করার সুযোগ পাবেন।
ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন শেষে বাংলাদেশ সরকারের বানিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সি এমপি বলেন এই বর্ডার হাট চালু হলে, বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন হবে। পাশাপাশি সীমান্তে চোরা চালান অনেকটা কমে আসবে।
ভারতের ত্রিপুরা সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, যখন সীমান্তে দু‘দেশের পন্য গুলো খোলা বাজার হয়ে যাবে তখন চোরা চালান বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি দুদেশ এক লক্ষে কাজ করবে। তিনি বলেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশগুলোও একত্রে কাজ করছে।
বাংলাদেশ সরকারের বানিজ্য মন্ত্রী ও ভারতের ত্রিপুরা সরকারের মুখ্যমন্ত্রী যৌথভাবে এ টিমের নেতৃত্বদেন। এ সময় মৌলভীবাজার ৪ আসনের সংসদ সদস্য উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ, ভারতের হাইকমিশনার শ্রী বিক্রম ধোরাইস্বামী, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্টেট রুমানা ইয়াসমিন, কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশেকুল হক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোমাইয়া আক্তারসহ বিজিবি ও পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও দুদেশের প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ টিমের সাথে ছিলেন।