চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় সেখানে কর্মরত শ্রমিক মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার বাসিন্দা অলিউর রহমান নয়ন (২৩) নিহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনার সময় ঘটনাস্থল থেকে একটু দূরে থেকে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে সে লাইভ করছিলো। হঠাৎ সেখানে ভয়াবহ বিস্ফোরণে আশপাশের সব কিছু অন্ধকার হয়ে যায়। তারপর থেকেই দীর্ঘসময় নিখোঁজ ছিলেন তিনি। এক পর্যায়ে যানা যায় তিনি মারা গেছেন।
রাত আনুমানিক ২টার সময় নিহত অলিউর রহমানের লাশ আসে চট্রগ্রামের পার্কভিউ হাসপাতালে। নয়ন কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের ফটিগুলী গ্রামের ছেলে। তার বাবা আশিক মিয়া। পরিবারের ৪ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে সে বড়।
অলিউর রহমানের চাচা সুন্দর আলী রোববার মুঠোফোনে জানান, আমাদেরকে গাড়ি নিয়ে হাসপাতালে যাবার জন্য বলা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে অলিউরের লাশ আনতে রওনা দিয়েছি।
স্থানীয় কর্মধা ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিনি নিহতের সম্পর্কে চাচাতো ভাই জুনাব আলীর মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে নিহতের মরদেহ আনার জন্য চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে স্বজনরা রওনা হয়েছে।
জানা গেছে, শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের বিএম কনটেইনার ডিপোতে হঠাৎ আগুনের ঘটনা ঘটে। এ সময় লাইভে থেকে সবাইকে আগুনের খবর দিচ্ছিল অলিউর। হঠাৎ সেখানে বিস্ফোরণ হলে হাতের মোবাইল ছিটকে যায় অলিউরের। তারপর চারদিকের আহাজারি, চিৎকার শোনা গেলেও অলিউর রহমান কোথায় কি অবস্থায় আছে তা জানা যায়নি। আজ সকালে পরিবারের কাছে খবর আসে অলিউর মারা গেছে। তার মৃত্যুতে পরিবারসহ গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
ভাগ্য বদলে ৪ মাস পূর্বে দরিদ্র্র পরিবারের এই বড় সন্তান একই গ্রামের বাসিন্দা মামুন মিয়া ঠিকাদারের মাধ্যমে চট্রগামের সীতাকুন্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে শ্রমিকের কাজে যোগ দেয়। মামুনও ওই জায়গায় কাজ করতো। পরিবারের বড় ছেলের এমন অকাল মৃত্যুতে এখন বাকরুদ্ধ বাবা আশিক আলী।