1. songbadmoulvibazar@gmail.com : admin :
রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ অপরাহ্ন

সাত উপজেলায় পানিবন্দি আড়াই লক্ষ মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : রবিবার, ১৯ জুন, ২০২২

ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং কুশিয়ারা নদী ও হাকালুকি হাওরের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মৌলভীবাজারের সাত উপজেলায় বন্যায় পানিবন্দি আছেন প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ। বন্যায় আক্রন্তদের জন্য ২১0 মেট্রিক টন চাল ও ২০০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্ধ করা হয়েছে। পানি বিশুদ্ধকরণে এখন পর্যন্ত ১০০০০টি ট্যাবলেট সরবরাহ ও ৬০টি মেডিকেল টিম এবং ৯৮ টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র ১৫,০০০ মানুষ ও ১,০০০টি গবাদিপশুকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।

রবিবার (১৯ জুন) এসব তথ্য জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, মনু, ধলাই ও কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার খুব কাছাকাছি প্রবাহিত হচ্ছে। বর্তমানে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমন অবস্থায় বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন কর্তৃক কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে। মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের ফোন নম্বর ০৮৬১-৫২৭২৫।

জানা গেছে, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন (খলিলপুর, মনুমুখ,আখাইলকুড়া, কনকপুর, কামালপুর, চাঁদনীঘাট ইউপি (আংশিক) প্লাবিত হয়েছে। এখানে প্রায় ৭,৫০০জন মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

জেলার বড়লেখা উপজেলার পাশাপাশি পাহাড় ধসে উত্তর শাহবাজপুর ইউনিয়নের আয়েশাবাগ চা বাগানে একজন নিহত ও সদর ইউনিয়নের কেছরিগুল গ্রামে একজন আহত হয়েছেন। ইতোমধ্যে বিদ্যুতের সাবস্টেশন পানিতে ডুবে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। কুলাউড়া উপজেলায় অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নদ-নদীসহ হাকালুকি হাওরের পানি বেড়ে ভূকশিমইল, ভাটেরা, জয়চন্ডী, ব্রাহ্মণবাজার, কাদিপুর ও কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের প্রায় সব এলাকা প্লাবিত হয়েছে।জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, কর্মধা ইউনিয়নের মহিষমারা গ্রামের ফানাই নদীর বাঁধ ভেঙে মহিষমারা, বাবনিয়া, হাশিমপুর, ভাতাইয়া ও পুরশাই গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের দুই হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় আছে। গ্রামগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।

জুড়ী উপজেলায় গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ২৮টি গ্রামের প্রায় ১৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব গ্রামের অধিকাংশ রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ পর্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ প্রায় ২৪টি পরিবারকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া জায়ফরনগর ইউনিয়নের গৌরীপুর ও সাগরনাল ইউনিয়নের কাশিনগর গোয়ালবাড়ি পশ্চিম শিলুয়া গ্রামে জুড়ী নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় বাঁধ মেরামত কাজ চলছে।

রাজনগর উপজেলায় ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে চার ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এখানে বন্যাদুর্গত মানুষের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। শ্রীমঙ্গলে ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ৫ ইউনিয়নের ১২ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এই ইউনিয়নে বন্যাদুর্গত মানুষের সংখ্যা চার হাজার। কমলগঞ্জে বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ধলাই নদীর পাড় ভেঙ্গে ৯ ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় বন্যা দেখা দিয়েছে।

মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান, বন্যাদুর্গতদের সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে তিনি বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন, আজ থেকে বিভিন্ন এলাকায় ত্রাণ বিতরণও শুরু হয়েছে।

 

Facebook Comments Box
এ জাতীয় আরও খবর

ফেসবুকে আমরা

© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০১৮ সংবাদ মৌলভীবাজার
Theme Customized BY Songbad Moulvibazar
error: Content is protected !!