নতুন মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করায় খুশি চা-শ্রমিকরা। হাজারো শ্রমিক মেতেছেন আনন্দ-উচ্ছ্বাস ও মিষ্টি বিতরণে। রোববার (২৮ আগস্ট) থেকেই কাজে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন তারা।
শনিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা। তিনি বলেন, আগেই বলেছিলাম প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দেবেন, আমরা তা মেনে নেব। যেহেতু প্রধানমন্ত্রী মালিকদের সঙ্গে বসে মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করেছেন, তাই আমরা আগামীকাল থেকেই কাজে যোগদান করব।
এদিকে নতুন মজুরি নির্ধারণ হওয়ার খবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তাৎক্ষণিক আনন্দ মিছিল করেন চা-শ্রমিকরা। শ্রীমঙ্গল চৌমোহনা চত্বরে হাজারো শ্রমিককে উচ্ছ্বাস করতে দেখা যায়।
চা-শ্রমিক দুলাল হাজরা বলেন, আমরা এখন বাগানের জন্য কাজ করব। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন, আমারা আশা করি তিনি আমাদের বাকি দাবিগুলোও মেনে নেবেন।
উল্লেখ্য, দেশের সব চা-বাগানে শ্রমিকের সংখ্যা দেড় লাখেরও বেশি। বর্তমানে দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা করার দাবিতে আন্দোলন করছেন তারা। গত ৯ আগস্ট এ আন্দোলন শুরু হয়। প্রথম চারদিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করা হয়। সে সময় মজুরি বৃদ্ধি ও মজুরি চুক্তি বাস্তবায়নের দাবিতে শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর পক্ষ থেকে বাগান মালিকদের আলটিমেটাম দেওয়া হয়। কিন্তু মালিকপক্ষ কোন সমঝোতায় না আসায় ১৩ আগস্ট থেকে লাগাতার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন শুরু করেন শ্রমিকরা। দীর্ঘদিন এ বিষয়ে কোনো সমাধান না হওয়ায় শনিবার বাগান মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বৈঠকেই শ্রমিকদের নতুন মজুরি ১৭০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।