পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় লাশের সারি দীর্ঘ হচ্ছে। এ দুর্ঘটনায় দুই দিনে নারী ও শিশুসহ ৪৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। নিখোঁজদের মরদেহের অপেক্ষায় ঘটনার পর থেকেই করতোয়ার পাড়ে অবস্থান করছেন স্বজনরা।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর রায়। তিনি জানান, বিকেলে নতুন করে আটজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রশাসন এখন পর্যন্ত ৪৩ জনের নাম প্রকাশ করেছে। তাৎক্ষণিকভাবে বাকিদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। এ ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহতদের মধ্যে রয়েছেন- দীপঙ্কর (৩), পিয়ন্ত (২.৫), রূপালী ওরফে খুকি রানী (৩৫), প্রমিলা রানী (৫৫), ধনবালা (৬০), সুনিতা রানী (৬০), ফাল্গুনী (৪৫), প্রমিলা দেবী (৭০), জ্যোতিশ চন্দ্র (৫৫), শোভা রানী (২৭), লক্ষী রানী (২৫), অমল চন্দ্র (৩৫), শ্যামলী রানী (১৪), তারা রানী (২৫), সনেকা রানী (৬০), সফলতা রানী (৪০), হাশেম আলী (৭০), বিলাস চন্দ্র (৪৫), তনুশ্রী (৫), শ্রেয়শী, প্রিয়ন্তী (৮), ব্রজেন্দ্রনাথ (৫৫), শ্যামলী রানী ওরফে শিমুলি (৩৫), উষশী (৮) ও সনেকা রানী (৬০)।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী উপ-পরিচালক শেখ মো. মাহাবুবুল আলম জানান, পঞ্চগড়সহ আশপাশের জেলার ফায়ার সার্ভিসের আট ইউনিট উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। এছাড়া রংপুর, কুড়িগ্রাম ও রাজশাহী থেকে আসা তিনটি দলের ৯ ডুবুরি উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুরে মহালয়া দেখতে আউলিয়া ঘাট থেকে বদশ্বেরী ঘাটে যাচ্ছিল নৌকাটি। নৌকায় ১০০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিল। যাত্রার শুরুতেই নৌকাটি দুলতে থাকে। দুলতে দুলতে নদীর মাঝে গিয়ে নৌকাটি ডুবে যায়।