সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা আগামী পহেলা অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে। ঘরে ঘরে তাই এখন দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা। দেবী দুর্গাকে স্বাগত জানাতে মৌলভীবাজারের মন্ডপে মন্ডপে মূর্তি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরির কারিগররা, চলছে রং তুলির আঁচর আর সাজসজ্জা।
গত বছর কুলাউড়া উপজেলায় ৩ টি ও কমলগঞ্জ উপজেলায় ১৫ টি পূজা মন্ডপে ভাংচুর করে দূর্বৃওরা, তাই এবছর নেয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। জেলা ও উপজেলায় প্রত্যেকটি পূজা মন্ডপে হিন্দু, মুসলিমসহ সব ধর্মের ১৫ সদস্যের সামাজিক-সম্প্রীতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। পূজা উপলক্ষে এসব সম্প্রতি কমিটি প্রত্যেক জায়গায় সক্রিয় থাকবে।
মৌলভীবাজার জেলায় এবার ১ হাজার ৭ টি পূজা মন্ডপে পুজা হচ্ছে, তার মধ্যে সার্বজনী পূজা ৮৭১টি এবং ব্যক্তিগত ১৩৬ টি। গেলবছর পূজা মন্ডপের সংখ্যা ছিল ৯৬৯ টি। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায়, এবার মন্ডপের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭ টিতে। এ জেলার সবচেয়ে বড় পূজা মন্ডপগুলো হলো – সদরের ত্রিনয়নী, মহেশ্বরী, আবাহনী, কুলাউড়ার কাদিপুর-শিববাড়ী মন্দির ও রাজনগর উপজেলার পাঁচগাও দূর্গা মন্দির।
কাঁদা-মাটি, বাঁশ, খড়, সুতলি দিয়ে শৈল্পিক ছোঁয়ায় তিলতিল করে গড়ে তোলা দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরিতে এখন দিনরাত ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা,তবে এবছর কাঁচামালের দামবৃদ্ধিতে নায্য মজুরি পাওয়ার শঙ্কায় আছেন প্রতিমা কারিগররা।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারন সম্পাদক সুমেশ দাশ যীশু বলেন, এবছর করোনা পরিস্থিতির প্রকোপ কেটেছে, তাই এবারের আয়োজন আরও উৎসবমুখর হবে বলে আশাবাদি তিনি।
আর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া জানান, পূজাকে সামনে রেখে এখন থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে, নিরাপওায় সাত শতাধিক পুলিশের পাশাপাশি নেয়া হয়েছে সার্বিক প্রস্তুতি।
আগামী পহেলা অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে ৫ অক্টোবর দশমী তিথিতে প্রতিমা বির্সজনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। এই সার্বজনীন উৎসব শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনে সবার সহযোগীতা প্রয়োজন বলে মনে করছেন এ জেলার পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজকরা।