মৌলভীবাজার দুর্গা পূজার নানা আনুষ্ঠানিকতায় মেতে উঠেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। রোববার (২ অক্টোবর) সকাল থেকেই মন্ডপে মন্ডপে মন্ডপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেবী দূর্গার মহা সপ্তমী বিহিত পূজা। গতকাল সন্ধ্যায় ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাঁচ দিনের শারদীয় দুর্গাপূজা। মৌলভীবাজার জেলায় এবার ১হাজার ৭টি মন্ডপে নানা রংঙের প্রতিমা নিয়ে চলছে বর্ণিল আয়োজন। মন্ডপে মন্ডপে চলছে মন্ত্রপাঠ ও পূজার আনুষ্ঠানিকতা।
ঢাকের বাদ্যে ছড়িয়ে পড়েছে উৎসবের আমেজ। দেবী দূর্গার দর্শন নিতে দুর দুরান্ত থেকে ছোটে আসছেন ভক্তরা। মৌলভীবাজারে এবার ব্যাতিক্রমী আয়োজন রয়েছে শহরের ত্রিণয়নী মন্ডপ, আবাহন পাঁচগাওয়ের লাল দুর্গা প্রতিমা ও কুলাউড়ার কাদিপুরে এক হাজার হাতের পাথর-সিমেন্ট দিয়ে তৈরি সহস্র ভুজা দেবী দুর্গার প্রতিমা। ত্রিণয়নী পূজামন্ডপের মূল ফটক বানানো হয়েছে বুর্জ খলিফার আদলে। ১২০ ফুট উচ্চতায় এটি তৈরি হয়েছে নান্দনিক কাপড় ও বাঁশ দিয়ে। আর আবাহন পূজামন্ডপে রয়েছে ৩৫ ফুট উচ্চতার প্রতিমা নারায়ণের বিশ্বরূপ। দর্শনার্থীরা এসব মন্ডপ ও প্রতিমা দেখে মুগ্ধ হচ্ছেন, প্রতিমা দেখতে পূর্ণার্থীদের সংখ্যাও বাড়ছে।
এদিকে পূজা মন্ডপে দর্শনার্থী ও পূজারিদের জন্য ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে জেলা পুলিশ। এবছর নেয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। দুর্গোৎসব উদযাপন নিরাপদ করতে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়ার নেতৃত্বে দুর্গাপূজা মনিটরিং সেল ও সাইবার মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। তাছাড়াও সামাজিক-সম্প্রীতি কমিটি জেলা ও উপজেলায় প্রত্যেকটি পূজা মন্ডপের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে।
প্রতি বছর এ জেলায় মন্ডপের সংখ্যা বেড়েই চলছে। গেলবছর পূজা মন্ডপের সংখ্যা ছিল ৯৬৯ টি। এ বছর সার্বজনী পূজা ৮৭১টি এবং ব্যক্তিগত ১৩৬ টি। পূজা আয়োজকরা বলছেন, এবার করোনা পরিস্থিতির প্রকোপ কেটেছে, তাই এবার মন্ডপের সংখ্যাও বেড়েছে, এবার করোনা বিধি-নিষেধ না থাকায় পূজা আর উৎসবমুখর হবে, বাড়বে দর্শণার্থী।
আগামীকাল সোমবার (৩ অক্টোবর) মহাষ্টমী ও কুমারীপূজা, মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) মহানবমী এবং বুধবার (৫ অক্টোবর) বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাঁচ দিনের দুর্গোৎসব।