পুজোর আমেজ, অষ্টমী ও কুমারী পূজার আনন্দে দুর্গা পূজার নানা আনুষ্ঠানিকতায় মেতে উঠেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। জগতের আসুরিক শক্তি দূর করে ত্যাগের মহিমায় মহিমান্বিত হয়ে মানুষে মানুষে সৃষ্টি হবে ভাতৃত্ব বোধ আর পৃথিবীতে আসবে শান্তি এই প্রত্যাশায় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অনুষ্ঠিত হয়েছে দেবী দূর্গার মহা অষ্ঠমী ও কুমারী রুদ্রানী পূজা।
সোমবার (৩ অক্টোবর) সকাল ১০ টা ৪৫ মিনিটে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার রঘুনাথপুর আনন্দময়ী কালী বাড়িতে দেবীর মহা অষ্ঠমী তিথিতে দেবী দূর্গার রুদ্রানী রুপে পূজা করা হয় ১১ বছরের কুমারী নন্দিনী চক্রবর্তী অর্পা কে। অর্পা উপজেলার বনগাও গ্রামের নুপুর চক্রবর্ত্তীর মেয়ে। সে জামসী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী।
পূজায় পুরোহিত্য করেন অসিত ভট্টাচার্য ও কমলাপদ চক্রবর্তী। পুরহিত অসিত ভট্টাচার্য জনান, শাস্ত্রমতে মুনি ঋষিরা কুমারী মেয়েকে প্রকৃৃতির সমান মনে করতেন এবং প্রকৃৃতি থেকেই এই জীবজগতের সৃষ্টি, সনাতন ধর্মে প্রকৃৃতি পূজার প্রচলণ রয়েছে। তাই দেবী দূর্গাকে কুমারী রূপে পূজা করা হয়। এবারের কুমারী মাতার আসনে বসানো হয় অর্পা কে, তিনি শ্রীমঙ্গলের রঘুনাথপুর কালীবাড়ির ১৫ তম কুমারী, যিনি পূজিত হন দেবী দুর্গার রুদ্রাণী রূপে।
এবার করোনা বিধি নিষেধ না থাকায় সকাল থেকে কুমারী পূজা দেখতে সিলেট বিভাগের হাজার দর্শনার্থীর সমাগম ঘটে। আগত দর্শনার্থীর বলেন ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে সবার মঙ্গলের জন্যই এই পূজা করা হয়।
প্রতিবছরের ন্যায় এবছর শান্তিপূর্ণভাবে কুমারী পূজা সম্পন্ন হয়েছে। আর পূজা মন্ডপে দর্শনার্থী ও পূজারিদের জন্য ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তৎপর ছিল পুলিশ।