দিনে গরম, রাতে শীতল হাওয়া আর ভোরের কুয়াশা বলে দিচ্ছে শীতকাল আর বেশি দূরে নয়। শীতের আগমনী বার্তা যেন প্রকৃতিতে এক ভিন্নরকম চাঞ্চল্য আনে। শীত ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে। ফলে অনেকেই শীতবস্ত্র রোদে শুকাতে দিচ্ছেন। মৌলভীবাজারের সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকায় শীত পড়তে শুরু করেছে। প্রতিদিনই একটু একটু করে তাপমাত্রা কমছে। তবে এখনও সেভাবে শীত অনুভূত না হলেও সন্ধ্যা আর শেষ রাতে শীতের আমেজ টের পাওয়া যাচ্ছে। সন্ধ্যা রাতে হালকা গরম অনুভব হলেও মাঝ রাতের দিকে দিতে হচ্ছে কাঁথামুড়ি।
মৌলভীবাজারে শীত জেঁকে বসার আগেই উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকায় লেপ-তোষক তৈরির ধুম লেগেছে। শীত বরণে এ এক অন্য রকম প্রস্তুতি। ভোর থেকেই চারপাশে কুয়াশা দেখা গেলেও সূর্য উঠার পরপর তা কাটতে শুরু করে। আর এই কুয়াশাই শীতের বার্তা জানান দিচ্ছে। এতে হালকা শীতের অনুভূতি জাগিয়ে দিয়েছে। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে কার্তিকের পর অগ্রহায়ণ পেরিয়ে পৌষ-মাঘ শীতকাল ধরা হলেও এবার আশ্বিনের শেষের দিকে শীত আসতে শুরু করেছে।
মৌলভীবাজারের পাহাড়ি এলাকায় বসবাসরত স্থানীয়রা জানান,গত কয়েকদিন ধরেই শুরু হয়েছে শীতের আমেজে। তবে দিনের বেলায় কিছুটা গরম অনুভূত হলেও সন্ধ্যা নামার পর একটু একটু করে কুয়াশা জড়িয়ে ধরছে প্রকৃতিকে। ভোরেও দেখা যাচ্ছে একই চিত্র। ধানের পাতায় কুয়াশার আস্তরণ আর শিরশিরে বাতাসের দেখা মিলছে। যদিও দিনে গরমের তীব্রতা খুব একটা কমেনি, তবে ভোরের প্রকৃতিতে থাকে ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব।
এদিকে শীতের আগমনী বার্তায় গ্রামও শহরের বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে উঠতে শুরু করেছে শীতকালীন শাক-সবজি। আর কাপড়ের দোকানগুলোতে শোভা পাচ্ছে নানা রকমের শীতের গরম পোশাক। ফুটপাত থেকে শুরু করে বিভিন্ন মার্কেটে শীতের পোশাক দোকানিরা তুলেছেন। ব্যবসায়ীরা জানান, শীতের আগমনী বার্তায় গত বছরের বিভিন্ন শীতের পোশাক দোকানে উঠিয়েছি। শীতের পোশাক বিক্রি শুরু না হলেও বাচ্চাদের পোশাক কিছু বিক্রি হচ্ছে। আশা করছি কিছুদিনের মধ্যেই শীতবস্ত্র বেচাকেনা শুরু হয়ে যাবে।
প্রকৃতিতে শীতের আমেজ শুরু হতে না হতেই গাছের পাতা থেকে শিশির ঝরে পড়ার টুপটাপ শব্দ আর রঙ বে-রঙের অতিথি পাখির আগমন শুরু হয়েছে। হেমন্তের ভোরে শিশির সিক্ত দূর্বা ঘাস ও পথঘাট সূর্যের আলোতে মুক্তার মতো জ্বল জ্বল করে জানান দিচ্ছে শীত আর দূরে নেই।