ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো: ফরিদুল হক খান (এমপি) বলেছেন, মসজিদের মাইক ব্যবহারে কিছু নির্দেশনা রয়েছে। লোকাল পিপলস অতিউৎসাহিত হয়ে অনেক সময় মসজিদের মাইক ভুল কাজে ব্যবহার করে ফেলে, এ ব্যাপারে সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তিনি ফেসবুক ও ইউটিউব ব্যবহার করে সমাজে অশান্তি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আইনগত ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশকে নির্দেশ দেন। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে মৌলভীবাজার সার্কিট হাউজের মুনহলে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক আন্ত:ধর্মীয় সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আল্লাহতায়ালা বাঁচিয়েছেন। একুশবার তার উপর হামলা হলেও আল্লাহ তাকে রক্ষা করেছেন দেশের বৃহত্তর স্বার্থে এবং দেশ পরিচালনার জন্যে। তাইতো স্বাধীনতার ৩৬ বছরেও যে উন্নয়ন হয়নি তা গত ১৪ বছরে সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের দেয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কোটি টাকা ব্যায়ে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করেছেন। শেখ হাসিনার সরকার সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছে, নতুন নতুন মন্দির নির্মাণ ও সংস্কার কার্যক্রমে বরাদ্ধ বাড়িয়েছে। এ দেশের হিন্দু ধর্মালম্বীরা এখন নির্ভিগ্নে পুজা উদযাপন করতে পারেন।
জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানের সভাপতিত্বে ধর্মীয় সংলাপে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার তিন আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ ও হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জহুরা আলাউদ্দিন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প পরিচালক আব্দুল্লা আল শাহীন।
ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর আয়োজনে এবং মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর সহযোগিতায় আয়োজিত সংলাপে অংশ নেন মুসলিম ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও সূধীজনরা।
পরে মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার টাউন কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুফতি সামছুল ইসলাম, কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মাহমুদ মিটুন, কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস সালেক, মৌলভীবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিসদের সভাপতি আশু রঞ্জন দাশ, বৌদ্ধ ধর্মের প্রতিনিধি ইপা বড়ুয়া, খ্রিস্টান ধর্মের প্রতিনিধি ভিক্টর প্রেন্টিস, দেওয়ানী মসজিদের ইমাম সৈয়দ মাওলানা সৈয়দ মুহিত উদ্দিন।