সর্বশেষ জানাজা (চতুর্থ) নামাজের পর চির নিদ্রায় শায়িত হলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রেই তাকে দাফন করা হয়েছে। শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) বাদ জুমার নামাজের পর দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটে পিএইচএ মাঠে তার চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় অংশ নেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পরিবারের সদস্য, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, কর্মকর্তা-কর্মচারী, স্থানীয় বাসিন্দাসহ প্রায় ১০ হাজার মানুষ। জানাজা শেষে ২ টা ৫৫ মিনিটে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সূচনা ভবনের পাশে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রঙ্গণে তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। ঢাকা জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এ কে এম হেদায়েতুল ইসলামের নেতৃত্বে এই সম্মান প্রদর্শন করা হয়। এসময় তাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী। পরে বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের নেতারা, রাশেদ খান মেননের নেতৃত্বে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির নেতৃবৃন্দ, ঢাকা ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিকসহ সমাজের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধা জানানো অধিকাংশ মানুষ শোক বইতে তাদের নানা ধরনের মন্তব্য লেখেন। কেউ স্মৃতিচারণ করেন, কেউ বিপ্লবী শুভেচ্ছা জানান। কেউ-বা আবার দোয়া কামনার কথা লেখেন শোক বইতে।
গার্ড অব অনার প্রদান করার পর ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ নেওয়া হয় সোহরাওয়ার্দীর মাঠে। সেখানে দুপুর আড়াইটায় তাঁর তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত সমস্যার কারণে চিকিৎসাধীন ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ৮১ বছর বয়সে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। আজ তার মরদেহ দাফন করা জন্য গতকাল রাতেই গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়৷