হজ যাত্রীরা সঠিকভাবে হজের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারলে হজ পালন অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। হজ যাত্রীদের হজ পালন সহজতর করার লক্ষ্যে দুইশত বিশ জন হজ যাত্রীকে দিনব্যাপী ফ্রি হজ প্রশিক্ষণ দেয় মবশ্বির-রাবেয়া ট্রাস্ট্র। বুধবার (২৪ মে) মৌলভীবাজারের ধরকাপন এলাকায় রুমেল কমিউনিটি সেন্টারে মৌলভীবাজার জেলাসহ হবিগঞ্জ ও সিলেট জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ২২০ জন হজ যাত্রী এতে অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণে নারীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলমান প্রশিক্ষণে হজের মাসলা-মাসায়েল তথা নিয়ম-পদ্ধতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন হজ্ব, উমরা ও জিয়ারত বিষয়ক প্রশিক্ষক তানভির হোসাইন।
এসময় প্রশিক্ষক তানভির হোসাইন হজ প্রশিক্ষণের গুরুত্ব প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশের একজন হজ যাত্রী সারাজীবনের সঞ্চিত অর্থ ব্যয় করে হজ্ব পালনের জন্য সৌদি আরব গমন করেন। কিন্তু যথাযথভাবে হজের বিধি-বিধান, যাতায়াত, খাবার, সৌদি আরবে চলাফেরা, স্বাস্থ্য সচেতনতাসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়ে অবহিত না থাকার জন্য হজযাত্রীরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখিন হন। হজ পালনে সমস্যা দেখা দেয়, ক্ষেত্রবিশেষ হজ পালন ত্রুটিযুক্ত হয়ে যায়। সেজন্য দেশ থেকে নিয়ম-কানুন জেনে তা যথাযথভাবে মানলে হজপালন অনেকটা সহজ হয়ে যায়।
প্রশিক্ষণ শেষে ট্রাস্ট্রের অন্যতম পরিচালক সাংবাদিক সৈয়দ হুমায়েদ আলী শাহীনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব মোঃ ফজলুর রহমান। তিনি বলেন হজ পালন সহজ করতে মবশ্বির-রাবেয়া ট্রাস্ট্র গত কয়েক বছর থেকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে আসছে, এ ধরনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অংশগ্রহনকারী হজ যাত্রীরা অনেক উপকৃত হবেন। হজ যাত্রীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, হজ পালন অবস্থায় পবিত্রনগরী মক্কায় প্রচন্ড গরম অনুভব হবে। মসজিদে হারাম এলাকায় কোল্ড ও নট কোল্ড দু’ধরনের পানি থাকে। এক্ষেত্রে সবাইকে শতর্কতা অবলম্বন করে নট কোল্ড পানি পান করার পরমর্শ দেন তিনি।
ট্রাস্ট্রের পরিচালক সাংবাদিক এস এম উমেদ আলীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর কাউন্সিলর সৈয়দ সেলিম হক, সাংবাদিক নজরুল ইসলাম মুহিব, রাজনগর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ বেলাল, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা জিয়াউল হক বুলবুলসহ অন্যান্যরা।
প্রশিক্ষণকালিন সময়ে নাস্তা, দুপুরের খাবার ও নামাজের ব্যবস্থা রাখা হয়। প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী হজ যাত্রীদেরকে পবিত্র হজ পালনকালে প্রয়োজনীয় জিনিস উপহার দেয়া হয়। উপহার সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে হজ নির্দেশিকা, পিঠের ব্যাগ, কোমরের বেল্ট, সেন্ডেলের ব্যাগ, পাসপোর্টের ব্যাগ, হাওয়া বালিশ ও কাংকরের ব্যাগ।