স্বাগতিক হওয়ায় খুব করে চেয়েছিলেন ট্রফি জিততে। প্রথম কোপা জয়ের সাক্ষী হতে। কিন্তু বন্ধু মেসির প্রত্যাশা পূরণের মঞ্চে নেইমার ফিরলেন খালি হাতে।
ম্যাচশেষে কান্নায় ভেঙে পড়লেন মেসি ও নেইমার দু’জনই। আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের দুই সুপারস্টারের কান্নার প্রেক্ষাপটটা অবশ্য ভিন্ন। দীর্ঘ অপেক্ষার ট্রফি জয়ের পর কান্নায় ভেঙে পড়েন মেসি। এ কান্না আনন্দের-প্রাপ্তির।
বিপরীত চিত্র নেইমারের। তার কান্না হতাশার-দুঃখের। অল্পের জন্য ছোঁয়া হলো না ট্রফিটা। এখন পর্যন্ত জিততে পারেন নি কোপা আমেরিকা। এবারও ঘরের মাটিতে শিরোপার হাতছোঁয়া দূরত্ব থেকে ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে। নেইমারের চোখের জল বাঁধ মানে না।
মেসির জন্য প্রথম হলেও নেইমারের জন্য প্রথম ছিল না। নেইমার এর আগে কনফেডারেশন্স কাপ জিতেছিলেন। তবে, নেইমারের জন্যও প্রথম ছিল। কোপা আমেরিকায় প্রথম শিরোপা জয়ের সুযোগ। ২ বছর আগে যে ব্রাজিল কোপা জিতেছিল, সেবার খেলতে পারেননি নেইমার। এবার তিনি মুখ ফুটেই বলেছিলেন, ‘আমিও প্রথম কোপা আমেরিকা জিততে চাই।’
কিন্তু জয়টা এলো মেসির জন্যই। দিনটাই আর্জেন্টিনার। ২২তম মিনিটে এঞ্জেল ডি মারিয়ার চিপ শটে সেই যে একমাত্র গোল হলো, সেটাই হয়ে দাঁড়ালো শিরোপা নির্ধারণী।
খেলা শেষ, সুতরাং আবারও বন্ধুত্ব ফিরে এলো মেসি-নেইমারের মধ্যে। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে ওঠার আগে এগিয়ে এসে মেসিকে অভিনন্দন জানালেন নেইমার। শিরোপা জয়ের অভিনন্দন জানাতে গিয়ে জড়িয়ে ধরলেন মেসিকে। মেসিও প্রিয় বন্ধুকে মনে হয় যেন দীর্ঘদিন পর কাছে পেলেন। জড়িয়েই ধরে রাখলেন দীর্ঘক্ষণ। এক আবেগঘণ দৃশ্যের অবতারণা হলো তখন।
পুরস্কার বিতরণের পর দেখা গেলো আরও একটি মধুর দৃশ্য। মেসি এবং নেইমার দু’জনই মিশে গেলেন একই রঙে। দু’জনের কারো গায়ে ছিল না কোনো জার্সি। জার্সি খুলে পাশাপাশি বসে ছবি তুললেন তারা দু’জন।