মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ঘরের তিরের সাথে উড়না পেছিয়ে ফাঁস দিয়ে রুনা আক্তার হ্যাপি নামে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী আত্মহত্যা করেছেন। তবে একটি ডায়েরিতে মৃত্যুর কারণ লিখে গেছেন তিনি।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নের লাংলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হ্যাপি একই গ্রামের আব্দুল আলীর মেয়ে।
হ্যাপির বড় বোন হেনা আক্তার বলেন, রানা নামে এক যুবকের সঙ্গে হ্যাপির প্রেম ছিল। আমরা তাকে বুঝিয়েছি সময় এলে বিয়ে দেব। আত্মহত্যার আগে একটি ডায়েরির কয়েকটি পৃষ্ঠায় নিজের বেদনাময় কথা লিখে গেছেন হ্যাপি।
ডায়েরিতে হ্যাপি লিখেছেন, ‘জীবনটা অনেক কষ্টের তাকেও নিয়ে স্বপ্ন দেখা শিখেছি আজ এতটায় একা যে কারো কাছে কিছু বলতে পারি না কী এমন জীবন, আমার কিছুই বুঝতে পারতেছি না, আই হেট লাইফ।’
কমলগঞ্জ থানার এসআই মহাদেব বাচঁড় জানান, হ্যাপির সঙ্গে রানা নামের এক যুবকের প্রেম ছিল। মোবাইলের কললিস্টে রানার নম্বর পাওয়া গেছে। ধারনা করা হচ্ছে প্রেমের জেরেই অভিমান করে আত্মহত্যা করেছেন হ্যাপি। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় কমলগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড হয়েছে, তবে বিষয়টি আর খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তিনি।